ভারতের বিখ্যাত স্মৃতিসৌধ সমূহ
ভারতের বিখ্যাত স্মৃতিসৌধ সমূহ
নাম | স্থান | যিনি নির্মাণ করেছেন |
অজন্তা ইলোরা গুহা | ওরঙ্গাবাদ (মহারাষ্ট্র ) | গুপ্ত সম্রাট |
বিবিকা-মাকবারা | ওরঙ্গাবাদ (মহারাষ্ট্র) | ঔরঙ্গজেব |
এলিফেন্টকেভ | মুম্বাই (মহারাষ্ট্র) | রাষ্ট্রকূট |
ভারতের প্রবেশদ্বার | মুম্বাই (মহারাষ্ট্র) | ব্রিটিশ |
কানানির দুর্গ | মুম্বাই (মহারাষ্ট্র) | বৌদ্ধরা |
আরামবাগ | আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) | বাবর |
আগ্রা ফোর্ট | আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) | আকবর |
আকবরের সমাধি | সেকেন্দ্রাবাদ (উত্তরপ্রদেশ) | আকবর |
ঈদমাদ-উদ-দৌ লা | আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) | নুরজাহান |
আনন্দ ভবন | এলাহাবাদ (উত্তরপ্রদেশ) | মতিলাল নেহেরু |
বড়ো ইমামবাড়া | লখনৌ (উত্তরপ্রদেশ) | আসফ উদ-দৌলা |
ছোটো ইমা মবাড়া | লখনৌ (উত্তরপ্রদেশ) | মহম্মদ আলী শাহ |
দেওয়ান-ই-খাস | আগ্রা ফোর্ট (উত্তরপ্রদেশ) | শাজাহান |
ফতে পুরসিক্রি | আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) | আকবর |
শিসমহল | আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) | শাজাহান |
সতী বুর্জ | মথুরা (উত্তরপ্রদেশ) | রাজা ভগবান দাস |
তাজমহল | আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) | শাজাহান |
মতি মসজিদ | আগ্রা ফোর্ট (উত্তরপ্রদেশ) | শাজাহান |
মতি মসজিদ | দিল্লী ফোর্ট | ঔরংজেব |
জামা মসজিদ | আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) | শাজাহান |
জামা মসজিদ | দিল্লী | শাজাহান |
ফিরোজ শাহ কোটলা | দিল্লী | ফিরোজ শাহ তুঘলক |
হজ খাস | দিল্লী | আলা উদ্দিন খলজি |
হুমায়ূনের সমাধি | দিল্লী | শাজাহান |
য্ন্ত্রর মন্ত্রর | দিল্লী | সাওয়াই জয়সিং |
খিড়কি মসজিদ | দিল্লী | গিয়া সুদ্দিন তুঘলক |
লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির | দিল্লী | বিড়লা পরিবার |
পুরানা কেল্লা | দিল্লী | শেরশাহ সুড়ি |
প্রেসিডেন্ট হাউস | দিল্লী | ব্রিটিশ |
কুতুবমিনার | দিল্লী | কুতুবুদ্দিন আইবেক |
লালকেল্লা | দিল্লী | শাজাহান |
ভরতপুর দুর্গ | ভরতপুর (রাজ্যস্থান) | রাজা সুরজমলসিং |
দুর্গ আজমীর শরীফ | আজমীর (রাজ্যস্থান) | সুলতান গিয়া সুদ্দিন |
দিলওয়ারা জৈন মন্দির | মাউন্টআবু (রাজ্যস্থান) | সিন্ধরাজ |
আড়া ই-দি নকা-ঝো পড়া | আজমীর (রাজ্যস্থান) | কুতুবুদ্দিন আইবক |
হাওয়া মহল | জয়পুর (রাজ্যস্থান) | মহারাজা প্রতাপ সিংহ |
জয়গড়দুর্গ | জয়পুর (রাজ্যস্থান) | সাওয়াই জয়সিং |
যোধপুর দুর্গ | যোধপুর (রাজ্যস্থান) | রাওসাধা রজি |
নাহারগর দুর্গ | জয়পুর (রাজ্যস্থান) | সাওয়াই জয়সিং |
বিজয় স্তম্ভ | চিতোরগর (রাজ্যস্থান) | মহারানা কুম্ভ |
চারমিনার | হায়দ্রাবাদ (অন্ধ্রপ্রদেশ) | কুলি কুতুব শাহ |
মক্কা মসজিদ | হায়দ্রাবাদ (অন্ধ্রপ্রদেশ) | কুলি কুতুব শাহ |
চারার -ই -শরীফ | জম্মু ও কাশ্মীর | জয়নাল আবে দীন |
শালিমার গার্ডেন | শ্রীনগর (জম্মু ও কাশ্মীর ) | জাহাঙ্গীর |
গোলঘর | পাটনা (বিহার) | ব্রিটিশ |
পাথরকি মসজিদ | পাটনা (বিহার) | পারভেজ শাহ |
শেরশাহের সমাধি | সাসারাম (বিহার) | শেরশাহের পুত্র |
বিষ্ণুপদ মন্দির | গয়া (বিহার) | গয়া (বিহার) |
শান্তিনি কেতন | পশ্চিমবঙ্গ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
বেলুড়মঠ | কোলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) | স্বামী বিবেকানন্দ |
ভিক্টরিয়ামে মোরিয়াল | কোলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) | ব্রিটিশ সরকার |
স্বর্ণ মন্দির | অমৃতসর (পাঞ্জাব) | গুরুরামদাস |
জগন্নাথ মন্দির | পুরি (উড়িষ্যা ) | অনন্ত বর্মন গঙ্গ |
সূর্য মন্দির | কোনারক (উড়িষ্যা ) | প্রথম নরসিংহ দেব |
সবরমতি আশ্রম | আমেদাবাদ (গুজরাট) | মহাত্মা গান্ধী |
লালবাগ | বেঙ্গালুরু (কর্ণাটক) | হায়দার আলী |
জিম করবেট উদ্যান | নৈনিতাল (উত্তরা খন্ড) | স্যার ম্যালকম হেলি |
সেন্টজর্জ ফোর্ট | চেন্নাই (তামিলনাড়ু) | ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি |
নিশাত গার্ডেন | শ্রীনগর (জম্মু ও কাশ্মীর) | আসফ আলী |
বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রথম ভারতীয় মহিলা
ক্রম | ক্ষেত্র | প্রথম মহিলা |
1 | প্রথম ভারতীয় মিসওয়ার্ল্ড মহিলা কে ছিলেন | রিতাফারিয়া |
2 | সুপ্রিমকোর্টে প্রথম মহিলা বিচারপতি কে ছিলেন | মিসেস মিরা সাহিব ফাতিমা বিবি |
3 | প্রথম মহিলা রাষ্ট্রদূত কে ছিলেন | মিসঃ সি .বি. মুথাম্মা |
4 | প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন | শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী |
5 | মাউন্টএভারেস্টে ওঠা প্রথম ভারতীয় মহিলা কে ছিলেন | বাচেন্দ্রি পাল |
6 | স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল বা গভর্নর কে ছিলেন | সরোজিনী নাইডু |
7 | মাউন্ট এভারেস্টে দু-বার ওঠা প্রথম মহিলা কে ছিলেন | সন্তোষযা দব |
8 | ভারতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম মহিলা সভাপতি কে ছিলেন | অ্যানিবেসান্ত |
9 | ভারতীয় বিমানবাহিনীতে প্রথম মহিলা পাইলট কে ছিলেন | হরিতা কাউর দয়াল |
10 | হাইকোর্টে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি কে ছিলেন | লীলা শেঠ |
11 | রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় প্রথম মহিলা সভাপতি কে ছিলেন | বিজয়লক্ষ্মী পন্ডিত |
12 | রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন | সুচেতা কৃপালনী |
13 | ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান কে ছিলেন | রোজ মিলিয়ন বেথিউ |
14 | প্রথম মহিলা ডি. জি. পি. কে ছিলেন | কাঞ্চন চৌধুরী ভট্টাচারিয়া |
15 | প্রথম মহিলা লেফট্যান্যান্ট জেনারেল কে ছিলেন | পুনিটা আরোরা |
16 | প্রথম মহি লা এয়ার ভাইস মার্শাল কে ছিলেন | পি . বন্দ্যোপাধ্যায় |
17 | প্রথম মহিলা আই. পি . এস অফিসার কে ছিলেন | কিরণ বেদি |
18 | ইন্ডিয়ান্স এয়ারলাইন্স- এ প্রথম মহিলা চেয়ারপারসন কে ছিলেন | সুষমা চাওলা |
19 | প্রথম মহিলা অশোক চক্র প্রাপক কে ছিলেন | নীরজা ভানোট |
20 | দিল্লিতে প্রথম এবং শেষ প্রথম মহিলা শাসক কে ছিলেন | রাজিয়া সুলতানা |
21 | ইংলিশ চ্যানল পার করা প্রথম মহিলা কে ছিলেন | আরতি সাহা |
22 | প্রথম মহিলা নোবেল পুরস্কার প্রাপক কে ছিলেন | মাদার টেরেসা |
23 | প্রথম মহিলা জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক কে ছিলেন | আশাপূর্ণা দেবী |
24 | প্রথম মহিলা ভারতরত্ন প্রাপক কে ছিলেন | শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী |
Current Affairs Of Chandrayaan 3
Q- মিশন চন্দ্রযান 3 চাঁদে, কবে soft land করল?
Ans- 23 August 2023
Q – মিশন চন্দ্রযান 3 চাঁদের কোথায় ল্যান্ড করলো ?
Ans- চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে।
Q- মিশন চন্দ্রযান থ্রি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোতে ভারত কত তম?
Ans- প্রথম
Q- Mission Chandra 3 কতজন বৈজ্ঞানিক যুক্ত আছে?
Ans-প্রায় 6.500
Q- মিশন চন্দ্রযান 3 -তে কোন Rocket 🚀 use করা হয়েছে?
Ans- GSLV MK3/LV M3
Q- মিশন চন্দ্রযান 3 তে কত খরচ হল?
Ans – 615 কোটি
Q- 8. বিক্রম Lander এর ওজন কত?
Ans- 1752 kg
Q- মিশন চন্দ্রযান 3 -এ বিক্রম লন্ডারের কটি leg/পা আছে?
Ans- 4 টি
Q- মিশন চন্দ্রযান 3 _এর থিম কি?
Ans- Science of The 🌙
Q- 1969 এর আগে ISRO-র নাম কি ছিল?
Ans- INCOSPAR(The Indian National Committee For Space Research)
Q- ISRO 1st satellite কোনটি ছিল?
Ans- Kalpana-1
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পর্বতমালা/অঞ্চল উচ্চতা রাজ্য
সান্দাকফু পূর্ব হিমালয় ৩৬৩৬ মিটার পশ্চিমবঙ্গ
কাঞ্চনজঙ্ঘা পূর্ব হিমালয় ৮৫৮৬ মিটার সিকিম
ধুপগড় সাতপুরা ১৩৫০ মিটার মধ্যপ্রদেশ
পরেশনাথ পরেশনাথ পাহাড় ১৩৭০ মিটার ঝাড়খন্ড
সোমেশ্বর ফোর্ট চম্পারন জেলা ৮৮০ মিটার বিহার
মাউন্ট ইসো সেনাপতি জেলা ২৯৯৪ মিটার মণিপুর
কালসুবাই পশ্চিমঘাট ১৬৪৬ মিটার মহারাষ্ট্র
গুরু শিখর আরাবল্লী ১৭২২ মিটার রাজস্থান
মাউন্ট সারামতি নাগা পর্বত ৩৮৪০ মিটার নাগাল্যান্ড
আনাইমুদি পশ্চিমঘাট ২৬৯৫ মিটার কেরালা
লক্ষ্মীদেবীপল্লী দাক্ষিনাত্য মালভূমি ৬৭০ মিটার তেলেঙ্গানা
আমসট শৃঙ্গ শিবালিক পর্বত ৯৫৭ মিটার উত্তরপ্রদেশ
নন্দাদেবী গাড়োয়াল হিমালয় ৭৮১৬ মিটার উত্তরাখন্ড
দোদাবেত্তা নীলগিরি পর্বত ২৬৩৭ মিটার তামিলনাডু
বেতালংছিপ জাম্পুই পাহাড় ৯৩০ মিটার ত্রিপুরা
করোহ শৃঙ্গ মোরনি পাহাড় ১৪৬৭ মিটার হরিয়ানা
মুল্যায়নাগিরি পশ্চিমঘাট ১৯৩০ মিটার কর্ণাটক
গিরনার জুনাগড় জেলা ১০৬৯ মিটার গুজরাট
রিয়ো পুরগিল পশ্চিম হিমালয় ৬৮১৬ মিটার হিমাচলপ্রদেশ
বৈলাডিয়া রেঞ্জ দান্তেওয়াড়া জেলা ১২৭৬ মিটার ছত্তিশগড়
কঙ্গটো পূর্ব হিমালয় ৭০৬০ মিটার অরুনাচল প্রদেশ
সোসোগদ পশ্চিমঘাট ১০২২ মিটার গোয়া
ফংপুই সইহা জেলা ২১৫৭ মিটার মিজোরাম
দেওমালি পূর্বঘাট ১৬৭২ মিটার ওড়িশা
শিলং শৃঙ্গ খাসি পাহাড় ১৯৬৫ মিটার মেঘালয়
আর্মা কোন্ডা পূর্বঘাট ১৬৮০ মিটার অন্ধ্রপ্রদেশ
Unlock the download file by clicking on the youtube subscribe button CODE
What Is Letter Writing?
Letter writing is the act of composing and sending written messages or correspondence to another person or organization. It is a traditional form of communication that has been practiced for centuries, and although it has somewhat been replaced by digital communication methods like email and instant messaging, letter writing still holds a unique charm and significance.
Table of Contents
- A letter typically consists of the following components:
- Letter writing is used for various purposes, including:
- Sample Letter
A letter typically consists of the following components:
Sender’s Address:
The sender’s address is mainly written at the top-right corner of the letter. It includes the sender’s name, street address, city, state, postal code, and sometimes the country.
Date:
The date is written below the sender’s address and indicates when the letter was written.
Recipient’s Address:
The recipient’s address is placed below the date. It includes the recipient’s name, street address, city, state, postal code, and country.
Salutation/Greeting:
The salutation is the opening of the letter and addresses the recipient. Common salutations include “Dear [Recipient’s Name],” “Hello [Recipient’s Name],” or “Dear Sir/Madam,” depending on the level of familiarity with the recipient.
Body of the Letter:
This is the main content of the letter where the sender communicates their message, conveys information, expresses emotions, asks questions, or shares ideas. The tone and style of the letter can vary depending on the purpose and the relationship between the sender and the recipient.
Closing:
The closing comes after the body of the letter and is used to conclude the message. Common closings includes “Sincerely,” “Best regards,” and “Yours faithfully,”
Signature:
The sender signs their name below the closing to provide a personal touch to the letter.
Letter writing is used for various purposes, including:
Personal communication with friends, family, or pen pals.
Professional communication in business and formal settings.
Cover letters for job applications.
Official letters to government agencies or institutions.
Letters of complaint, appreciation, condolence, or congratulation.
Invitations and thank-you letters for events or gifts.
In the digital age, letter writing has become less common, but it remains a valuable skill, especially for formal or heartfelt communication. Writing a letter requires thoughtfulness, clarity, and attention to detail to effectively convey the intended message.
Sample Letter
MCQ Questions
বাংলা ভাষার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ
১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা যে ভাষা বংশের অন্তর্গত—
(ক) ইন্দো-ইউরোপীয়
(খ) সোমীয়-হামীয়
(গ) বান্টু
(ঘ) দ্রাবিড়
View Answer
২. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে যতগুলি শাখার জন্ম হয়েছে—
(ক) ৫টি
(খ) ৬টি
(গ) ১০টি
(ঘ) ১৫টি
View Answer
৩. ইন্দো-ইরানীয় ভাষা যে গুচ্ছের অন্তর্গত—
(ক) ২টি
(খ) ৩টি
(গ) ১০টি
(ঘ) ১৫টি
View Answer
৪. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বংশের ভাষাগুলিকে যতগুলি গুচ্ছে ভাগ করা হয়—
(ক) কেতুম
(খ) সতম
(গ) কেলতিক
(ঘ) বালতিক
View Answer
৫. প্রাচীন ভারতীয় আর্যের সময়সীমা-
(ক) ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ খ্রিষ্টপূর্ব
(খ) ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব–৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব
(গ) ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ – ৬০০ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ—৫০০ খ্রিস্টাব্দ
View Answer
৬. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার নিদর্শন হল—
(ক) অশোকের শিলালিপি
(খ) বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ
(গ) ঋকবেদ
(ঘ) জৈন ধর্মগ্রন্থ
View Answer
৭. প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার যুগগত নাম—
(ক) প্রাকৃত ভাষা
(খ) পালি ভাষা
(গ) ক্লাসিক্যাল সংস্কৃত
(ঘ) বৈদিক সংস্কৃত
View Answer
৮. প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার উপস্তর হল—
(ক) প্রাচীন বৈদিক যুগ
(খ) অর্বাচীন বৈদিক যুগ
(গ) বেদোত্তর বা প্রাক্ সংস্কৃত যুগ
(ঘ) সবগুলি ঠিক
View Answer
৯. প্রাচীন বৈদিক যুগের সময়সীমা—
(ক) আনুমানিক ১২০০-১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
(খ) ১০০০-৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
(গ) ৮০০–৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
(ঘ) ১৫০০-৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
View Answer
১০. অর্বাচীন বৈদিক যুগের কালসীমা—
(ক) আনুমানিক ৮০০-৩০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ
(খ) ১০০০-৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
(গ) ১২০০-১০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ
(ঘ) ৬০০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ
View Answer
১১. প্রাক্ সংস্কৃত যুগের সময়সীমা—
(ক) ৬০০-৩০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ
(খ) ৮০০-৫০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ
(গ) ৮০০–৩০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ
(ঘ) ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান
View Answer
১২. কোনটি ঠিক?
(ক) প্রাচীন বৈদিক যুগের সাহিত্যিক নিদর্শন- ‘ঋগবেদ সংকলন
(খ) অর্বাচীন বৈদিক যুগের নিদর্শন – ঋগ্বেদের দশম মণ্ডল, সামবেদ, যজুর্বেদ, অথর্ববেদ ও সংহিতা
(গ) প্রাক্-সংস্কৃত যুগের নিদর্শন হল— ‘ব্রাক্ষ্মণ’ ‘উপনিষদ’
(ঘ) সবগুলি ঠিক
View Answer
১৩. যেটি ঠিক নয়-
(ক) ‘ব্রাক্ষ্মণ’ জাতীয় গ্রন্থাবলির সময়সীমা— খ্রিস্টপূর্ব ৮০০-৫০০ অব্দ।
(খ) বিভিন্ন আরণ্যক ও উপনিষদের সময়- খ্রিস্টপূর্ব ৭০০-৫০০ অব্দ।
(গ) বেদাঙ্গ সূত্র সাহিত্য জাতীয় রচনা- ৬০০ খ্রিস্টাব্দ-৩০০ অব্দ।
(ঘ) পাণিনি নির্ধারিত সংস্কৃত এর সময়সীমা খ্রিস্টপূর্ব ৫০০-৬০০ অব্দ
View Answer
১৪. বৈদিক ভাষায় যত প্রকার স্বর ছিল-
(ক) তিন প্রকার
(খ) দুই প্রকার
(গ) চার প্রকার
(ঘ) পাঁচ প্রকার
View Answer
১৫. কোনটি ঠিক নয় ?
(ক) প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষায় তিনটি বচন ও ৮টি কারক ছিল
(খ) প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষায় ক্রিয়ার পাঁচ কাল ও পাঁচটি ভাব ছিল
(গ) এই ভাষায় ক্রিয়ারূপের চেয়ে শব্দরূপের প্রাধান্য বেশি
(ঘ) এখানে ‘লতা’-কে ক্লীবলিঙ্গ হিসাবে ধরা হয় না
View Answer
১৬. প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষায় ক্রিয়াভিত্তিক যত রকম রূপ পাওয়া যায়—
(ক) ৩ রকম
(খ) ২ রকম
(গ) ৪ রকম
(ঘ) ৫ রকম
View Answer
১৭. বৈদিক ভাষায় ছন্দ ছিল মূল—
(ক) মাত্রাভিত্তিক
(খ) শ্বাসাঘাত প্রধান
(গ) অক্ষরমূলক
(ঘ) কোনোটি ঠিক নয়
View Answer
১৮. মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার যুগগত নাম –
(ক) বৈদিক ভাষা
(খ) প্রাকৃত ভাষা
(গ) সংস্কৃত ভাষা
(ঘ) কোনোটি ঠিক নয়
View Answer
১৯. বৈদিক-সংস্কৃত থেকে ‘প্রাকৃত’ শব্দটির জন্ম বলে যিনি মনে করেন—
(ক) ড. রামেশ্বরণ
(খ) ড. সুকুমার সেন
(গ) ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
(ঘ) হেমচন্দ্ৰ
View Answer
২০. ‘প্রাকৃত ভাষা’ আসলে ‘প্রকৃতি’ বা জনগণের ভাষা, যিনি বলেছেন-
(ক) ভিন্টারনিৎস
(খ) সুকুমার সেন
(গ) হেমচন্দ্ৰ
(ঘ) ‘ক’ ও ‘খ’ ঠিক, ‘গ’ ভুল
View Answer
জীবনানন্দ দাশের জীবনী সম্পর্কে সামগ্রিক আলোচনা।
জীবনানন্দ দাশের জীবনে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আসার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে আমরা জীবনানন্দ দাশের জন্ম ,শিক্ষাজীবন ,তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ , প্রাপ্ত পুরস্কার ,সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করব আশা করছি তোমাদের এই তথ্যটি ভালো লাগবে।
Table of Contents
জীবনানন্দ দাশের জীবনী
জীবনানন্দ দাশের জীবনী—–“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে , কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে”।মায়ের সাহিত্য প্রতিভা এ জীবনানন্দ কে সাহিত্য সৃষ্টি সাধনে অনুপ্রাণিত করেছিল মায়ের প্রযত্নে তার কাব্যর-প্রতিভা শুরু হয়। আধুনিক বাংলা কাব্য সাহিত্যে রবীন্দ্র উত্তর যুগে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ । বাংলার অতি সামান্য জিনিসগুলোকে কাব্য রসে রসময় করে অন্য মাত্রা দিয়েছেন ।
জন্ম — বাংলাদেশের বরিশালের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে ১৭ ই ফেব্রুয়ারি জীবনানন্দ দাশের জন্ম হয়। পিতা —সত্যানন্দ দাশ ও মাতা– কুসুমকুমারী দেবী তার মা কবিতা রচনা করতেন এবংএবং সেই সমসাময়িক যুগে তিনি বিন্দু কবিতাটি রচনা করে কবি খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তার শৈশব জীবনের প্রায় সমস্ত টাই কেটেছিল প্রকৃতিকে জড়িয়ে এবং প্রকৃতির রূপময় সৌন্দর্যের মাঝখানে।
জীবনানন্দ দাশের শিক্ষাজীবন
শিক্ষাজীবন—— প্রথমে তিনি ব্রজ মোহন স্কুলে ভর্তি হন , সেখান থেকে পাশ করে তিনি ব্রজমোহন কলেজে আইয়ে তে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে আইএ পাস করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে এডমিশন নেন।প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে সামানিক ইংরেজি নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ।এরপর ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি এমএ পাস করেনএবং এই প্রেসিডেন্সি কলেজের সাথে তার প্রথম অধ্যাপনার জীবন শুরু করেন ।পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে থেকে সরে এসে সিটি কলেজে অধ্যাপনা জীবনের সঙ্গে যুক্ত হন।
জীবনানন্দ দাশের সাহিত্য জীবন
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ—- প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরা পালক’ , ‘ধূসর পান্ডুলিপি’ , ‘ সাতটি তারা তিমির’ , ‘ রূপসী বাংলা’ , ‘ মহাপৃথিবী’ , ‘বেলা বেলা কালবেলা’।
১৯২৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক প্রকাশিত হয় ।এতে ৩৫ টি কবিতা সংকলিত হয়েছিল। ঝরা পালকের অধিকাংশ কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাব লক্ষ্য করা যা। এছাড়া সত্যেন্দ্রনাথ ও নজরুলের প্রভাব অনেক কবিতায় আছে। ঝরা পালকের ‘একদিন খুঁজেছিনু যারে’;’আলেয়া’ ;‘অস্ত চাঁদে’ ;‘সেদিন এ ধরণীর ‘;‘সারাটা রাত্রি তা্রাটার সাথে তারাটারই কথ হয়, ;প্রভৃতি কবিতায় জীবনানন্দের বিশিষ্ট কবি ভাবনার আভাস আছে। এই বিশেষত্বের একটা দিক সুদূর ইতিহাস অভিসার।
জীবনানন্দের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ধূসর পান্ডুলিপি ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যের কবিতায় খুবই স্পষ্টভাবে ইমেজেস্ট কাব্য শিল্পের উপর নির্ভর করেছেন এবং কবি মানুষের ব্যর্থতা বোধ যেন বেদনা পাথরতায় পরিণত হতে চলেছে। নিজের মুডকে কবি প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছেন খন্ড খন্ড চিত্ররূপ ও ভাব রূপ দিযুপ, এবং এই চিত্র ও ভাবরূপ কবি মানুষের যেমন অসংলগ্ন অথচ অস্থায়ী,কবিতায়ও তেমনি অসম্পৃক্ত রূপে প্রকটিত। একটা ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য ব্যঞ্জনার শব্দকে অপরিন্দ্রিয় গ্রাহ্য ব্যঞ্জনায় ব্যবহার করে কবি নিজের নিগুর অনুভূতিকে ব্যক্ত করতে চেয়েছেন। এর মধ্যে অবশ্যই ইংরেজির অনুকরণ আছে।যেমন – ‘নরম জলের গন্ধ’ ‘ বাতাসে ঝিঝির গন্ধ’, ‘ হাঁসের গায়ের ঘ্রাণ’, ‘ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলেছিল’, ‘চারিদিকে পিরামিড কাফনের ঘ্রাণ’ ইত্যাদি।
একই শব্দের পৌনঃপুনিক রীতির ইংরেজি কবিতা থেকে গৃহীত কৌশল অনুকৃত। যেমন-
পৃথিবীর সেই মানুষের রূপ
তুলো হাতে ব্যবহৃত ব্যবহৃত ব্যবহৃত হয়ে
ব্যবহৃত ব্যবহৃত
আগুন বাতাস জল আদিম দেবতারা হো হো করে হেসে উঠল
ব্যবহৃত হয়ে শুয়ারের মা;শ হয়ে জায়।
ধূসর পাণ্ডুলিপির পর আর ৪ খানা কবিতার বই বের হয়- ‘বনলতা সেন’[১৯৪২] ‘সাতটি তারার তিমির’[১৯৪৮] ‘মহা পৃথিবী’[১৯৪৪] ‘শ্রেষ্ঠ কবতা’[১৯৫৮]; আটি জীবনানন্দ দাশের সেরা কবিতা।যুগ যুগান্তের পথচারীর শ্রান্তি ;ক্লান্তি ,ও ক্ষুধ,’ তৃষ্ণা বিনোদনের নির্বিধাই নীর সিম্বল বনলতা সেন। ‘আট বছর আগের একদিন’ বিশিষ্ট রচনা। বহির জীবনে সুখ শান্তি থাকতে পারে কিন্তু অন্তরে যে অশান্তি অব্যক্ত অতৃপ্তি জাগাতে থাকে তার তাড়না এড়ানো দায় ।
কীর্তি নয় ;কীর্তি নয় -সচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা কর ,
জীবন শাশ্বত, অলঙ্ঘনীয় এবং উদাসীন।
সেই জন্য কবি -চিত্তের তিক্ততা।
তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি , আহা,
থুরথুরে অন্ধ পেঁচা অসথের ডালে বসে এসে
চোখ পাল্টায় কয়ঃ ‘বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার !
ধরা যাক দু’ একটা ইদুর এবার ‘-
‘রূপসী বাংলা’[১৯৫১ ]চতুর্দশপদী কবিতা।এই কবিতাগুলিতে শান্ত প্রকৃতির সঙ্গে ,অকুব্ধ তব্ধ জীবনের সঙ্গে কবি -হৃদয়ের সুর মিলে গিয়েছে।
চারিদিক শান্ত বাতি— ভিজে গন্ধ —মৃদু কলরব;
খেয়া নৌকাগুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে;
পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে র’বে চিরকাল;—
এশিরিয়া ধুলো আজ -বেবীলন ছাই হয়ে আছে।
নিজের জীবনের বঞ্চনার ক্ষোভ দেশের অতীত ইতিহাসের সঙ্গে মিলে গিয়ে কবি ভাবনায় স্নিগ্ধ করুন আভা ছড়িয়েছে।
কোনদিন রূপহীন প্রবাসের পথে
বাংলার মুখ ভুলে খাঁচার ভিতর নষ্ট শুকের মতন
কাটাইনি দিন মাস ,বেহুলার লহনার মধুর জগতে
তাদের পায়ের ধুলো মাখা -পথে বিকায়ে দিয়েছি আমি মন
বাঙালি নারীর কাছে -চাল ধোয়া স্নিগ্ধ হাত , ধান মাখা চুল ,
হাতে তার শাড়ির কস্তা পার;– ডাসা আম কামরাঙ্গা কুল।
জীবনানন্দের কাব্য প্রেরণার মূলে আছে প্রকৃতি -প্রীতি এবং প্রকৃতি -ভীতি।কবি -প্রকৃতিকে ভালোবাসেন এবং সে ভালোবাসায় ভয়ের ছোঁয়া আছে।অরূপ রতনের আশায় নয় , নিজের ভাব মুগ্ধতাকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য তিনি রূপসাগরের ডুব দিয়েছেন।গোবিন্দ চন্দ্র দাসের পর জীবনানন্দই একমাত্র কবি, যার রচনায় পূর্ববঙ্গের প্রাকৃতিক আবেষ্টনের রূপ ও রস ধরেছে। জীবনানন্দের কবিতা এক মৃত্যুহীন কবিতা।
পুরস্কার—- জীবনানন্দ দাশ ‘ রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ‘-লাভ করেছিলেন ১৯৫২খ্রিস্টাব্দে এবং ‘ সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ‘- লাভ করেছিলেন ১৯ ৫৫।
মৃত্যু —১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ১৪ই অক্টোবর আমাদের এই প্রিয় জীবনানন্দ দাশের প্রয়াত দিবস ঘটে, তিনি পরলোক ধামু গমন করেন ঠিকই কিন্তু তিনি আজও জীবিত রয়ে গেছেন তার কাব্য সাহিত্যের মধ্যে আমাদের মনে ।
শেষ করার আগে জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতার দুটো লাইন অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়-
“ বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি ,
তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাইনা আর।”
বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কি কি শর্ত থাকা প্রয়োজন ?বাক্যের প্রকারভেদ ?বাক্য রূপান্তর কর?
বাক্য বিভিন্ন পদ সমষ্টি দ্বারা গঠিত হয় ঠিকই কিন্তু পদের সম্পর্কের মধ্যে অব্যয় থাকা আবশ্যক।
সংজ্ঞা : কতগুলি পথ পর পর বসে যখন মনের ভাব বা অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে।
যেমন- মাহি গান গাইছে।
যে সুবিন্যস্ত পদ সমষ্টি দিয়ে কোন বিষয়ে বক্তার মণেরভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বলে।
Table of Contents
- একটি সার্থক বাক্যের শর্ত সমূহ :
- গঠনগত দিক থেকে বাক্য কয় প্রকার ও কি কি?
- (১) সরল বাক্য কাকে বলে?
- (২) জটিল বাক্য কাকে বলে?
- (৩) যৌগিক বাক্য কাকে বলে?
- অর্থ অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী?
- (১) নির্দেশক বাক্য কাকে বলে?
- ইতিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক বাক্য কাকে বলে?
- নেতিবাচক বা না-সূচক বাক্য কাকে বলে?
- ২) প্রশ্নবোধক বাক্য কাকে বলে?
- ৩) অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কাকে বলে?
- ৪) বিস্ময়সূচক বাক্য কাকে বলে?
- ৫) ইচ্ছাসূচক বাক্য কাকে বলে?
- বাক্য পরিবর্তন বা বাক্য রূপান্তর
- ১। সরল বাক্যকে মিশ্র বাক্যে রূপান্তর
- ২। মিশ্র বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর
- ৩। সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
- ৪। যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে
একটি সার্থক বাক্যের শর্ত সমূহ :
•ক: আকাঙ্ক্ষা :-_বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ জানার যা ইচ্ছা তাই হল আকাঙ্ক্ষা।
• খ: আসক্তি :- বাক্যে শব্দ গুলো এমনভাবে থাকবে যাতে মনের ভাব বাধা প্রাপ্ত না হয়ে প্রকাশ পাবে।
• গ: যোগ্যতা :- বাক্য স্থিত পদ সমূহের পরস্পরের সঙ্গে অর্থগত এবং ভাব কত মেলবন্ধনের নাম যোগ্যতা। (বাক্যে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য যে শর্ত সমূহ জড়িত থাকে এবং দোষে পরিণত হয় – দুর্বোধ্যতা বর্জন উপমার ভুল প্রয়োগ গুরুচণ্ডালী দোষ যথার্থ শব্দ প্রয়)।
গঠনগত দিক থেকে বাক্য কয় প্রকার ও কি কি?
গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় –
(১) সরল বাক্য
(২) জটিল বাক্য এবং
(৩) যৌগিক বাক্য
(১) সরল বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্য একটি মাত্র কর্তা বা উদ্দেশ্য এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে তাকে সরল বাক্য বলে।
যেমন –
• (ক) সুমন মাঠে বল খেলছে।
• (খ)সে রোজ কাযে যায়।
(২) জটিল বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্য একটি প্রধান অংশ এবং এক বা একাধিক অপ্রধান অংশ থাকে তাকে বলে জটিল বাক্য।
জটিল বাক্য স্বাধীন অংশ বা প্রধান অংশ এবং অপ্রধান অংশ সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে। এই সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়গুলি হল – যে-সে, যেমন-তেমন, যদি-তবে, যেখানে-সেখানে, যেহেতু-সেহেতু, ইত্যাদি।
উদহারণ দিয়ে বোঝানো যাক –
• (ক) যখন তুমি আসবে তখন আমি যাব।
• (খ) যেমন কর্ম তেমন ফল।
• (গ) যে পরাশুনা করবে সে প্রথম হবে।
(৩) যৌগিক বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্য দুই বা একাধিক সরলবাক্য সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
যেমন –
• (ক) সে রোগা কিন্তু শক্তিশালী।
• (খ) বিদ্যালয়ে যাব এবং মন দিয়ে পড়া শুনবো।
অর্থ অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ অর্থ অনুসারে বাক্য পাঁচ প্রকার –
• (১) নির্দেশক বাক্য
• (২) প্রশ্নবোধক বাক্য
• (৩) অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
• (৪) বিস্ময়সূচক বাক্য এবং
• (৫) ইচ্ছাসূচক বাক্য
(১) নির্দেশক বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিবৃতি বা বর্ণনা দেওয়া হয় তাকে নির্দেশক বাক্য বলে। যেমন –
• কাকলি ভালো মে।
• বসন্তে কোকিল ডাকে।
• পূর্ণিমার রাত কালো নয়।
নির্দেশক বাক্য ২ প্রকার – ইতিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক এবং নেতিবাচক বা না-সূচক।
ইতিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্যের দ্বারা কোনো কিছু স্বীকার করা হয় বা ্মেনে নেওয়া হয়, তাকে ইতিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক বাক্য বলা হয়।
যেমন –
• আজ খুব শীত।
• সে আসবে।
নেতিবাচক বা না-সূচক বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্য দিয়ে কোনো কিছু অস্বীকার করা হয়, তাকে নেতিবাচক বা না-সূচক বাক্য বলে। না, নয় ইত্যাদি দ্বারা অস্বীকার করা বোঝায়।
যেমন –
• আজ মনটা ভালো নেই।
• সে এখন এখানে থাকে না।
২) প্রশ্নবোধক বাক্য কাকে বলে?
যে বাক্যের দ্বারা কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়, তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। যেমন –
• তুমি কি আসবে?
• তুমি কি যাবে ?
৩) অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কাকে বলে?
যে বাক্যের দ্বারা আদেশ, নির্দেশ, অনুরোধ, উপদেশ, প্রভৃতি দাওয়া হয়, তাকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলে। এই ধরণের বাক্যে উদ্দেশ্য বা কর্তা ‘ তুমি ‘, ‘ তোমরা ‘ প্রায় উহ্য থাকে। যেমন –
• মন দিয়ে কাজ করো।
• এখন যাও।
৪) বিস্ময়সূচক বাক্য কাকে বলে?
বিস্ময়সূচক বাক্য যে বাক্যের দ্বারা বিস্ময় বা আবেগ প্রকাশিত হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বা আবেগসূচক বাক্য বলে। যেমন –
• কি আনন্দ।
• এখানে কত সুখ!
৫) ইচ্ছাসূচক বাক্য কাকে বলে?
যে বাক্যের দ্বারা বক্তার মনের কামনা, বাসনা, প্রার্থনা, ইচ্ছা, ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন –
• ভাল থাকো।
• তোমার কল্যাণ হোক।
বাক্য পরিবর্তন বা বাক্য রূপান্তর
বাক্য রূপান্তর।
অর্থের কোনোরূপ পরিবর্তন না করে এক প্রকারের বাক্যকে অন্য প্রকার বাক্যে রূপান্তর করার নামই বাক্য রূপান্তর।
১। সরল বাক্যকে মিশ্র বাক্যে রূপান্তর
মিশ্র বাক্যের সংযোগচিহ্ন : জবে- তবে, যে- সে, যারা-তারা, যে-সেই, যেই-সেই, যে-তাকে/তারা, যা-তা, যেসব-তাদের/যেসকল-তারা, যাদের-তাদের/তারাই, যে-সেটি
সরল বাক্যকে মিশ্র বাক্যে পরিণত করতে হলে সরল বাক্যের কোনো অংশকে খণ্ডবাক্যে পরিণত করতে হয় এবং উভয়ের সংযোগ বিধানে সম্বন্ধসূচক (যদি, তবে, যে, সে প্রভৃতি) পদের সাহায্যে উক্ত খণ্ডবাক্য ও প্রধান বাক্যটিকে পরস্পর সাপেক্ষ করতে হয়। যেমন :
১. সরল বাক্য : ভালো ছাত্ররা শিক্ষকের আদেশ পালন করে।
মিশ্র বাক্য : যারা ভালো ছাত্র তারা শিক্ষকের আদেশ পালন করে।
২. সরল বাক্য : তার দেখা মাত্রই আমরা প্রস্থান করলাম।
মিশ্র বাক্য : যেই তার দেখা পেলাম সেই আমরা প্রস্থান করলাম।
৩. সরল বাক্য : ভিক্ষুককে দান কর।
মিশ্র বাক্য : যে ভিক্ষা ্মাগে তাকে দান কর।
২। মিশ্র বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর
মিশ্র বাক্যের অপ্রধান খণ্ডবাক্যটিকে সংকুচিত করে একটি পদ বা একটি বাক্যাংশে পরিণত করতে হয়। যেমন :
১. মিশ্র বাক্য : যতদিন জীবিত থাকব ততদিন এ উপকার স্বীকার করব।
সরল বাক্য : আজীবন এ উপকার স্বীকার করব।
২. মিশ্র বাক্য : যে সব পশুরা মাংস ভোজন করে তারা অত্যন্ত বলবান।
সরল বাক্য : মাংসভোজী পশু অত্যন্ত বলবান।
৩। সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
যৌগিক বাক্যের সংযোগচিহ্ন : এবং, কিন্তু, তথাপি, তবে, তাই ।
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করতে হলে সরল বাক্যের কোনো অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। এবং যথাসম্ভব সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয়ের প্রয়োগ করতে হয়। যেমন :
১. সরল বাক্য : তিনি আমাকে ১০ টাকা দিয়ে বাড়ি যেতে বললেন।
যৌগিক বাক্য : তিনি আমাকে ১০টি টাকা দিলেন এবং বাড়ি যেতে বললেন।
২. সরল বাক্য : পরীক্ষায় পাশ করার জন্য এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত।
যৌগিক বাক্য : এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত তবেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
৩. সরল বাক্য : আমি বহু কষ্টে বর লাভ করেছি।
যৌগিক বাক্য : আমি বহু কষ্ট করেছি ফলে বর লাভ করেছি।
৪। যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে
১. বাক্যসমূহের একটি সমাপিকা ক্রিয়াকে অপরিবর্তিত রাখতে হবে।
২. অন্যান্য সমাপিকা ক্রিয়াকে অসমাপিকা ক্রিয়ায় পরিবর্তন করতে হয়।
৩. অব্যয় পদ থাকলে তা বর্জন করতে হয়।
৪. কোনো কোনো স্থলে একটি বাক্যকে হেতুবোধক বাক্যাংশে পরিণত করতে হয়।
যেমন :
১. যৌগিক বাক্য : সত্যি কথা বলিনি তাই বিপদে পড়েছি।
সরল বাক্য : সত্যি কথা না বলে বিপদে পড়েছি।
২. যৌগিক বাক্য : তার বয়স বেরেছে কিন্তু বুদ্ধি হয়নি।
সরল বাক্য : তার বয়স বারলেও বুদ্ধি হয়নি।